skip
Thursday , June 1 2023

নিয়মিত সকালে নাস্তা না করলে নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনবেন

দিনের সব কাজ সারতে সারতে হয়ে যায় অনেক রাত। ঘুম আসতে আসতে রাত তিনটা! সকালে তড়িঘড়ি করে প্রস্তুত হয়েই এক দৌড়ে—কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বা অফিস। মাঝখান থেকে সকালের নাশতা হাওয়া। এভাবেই চলছিল।
সকালের নাস্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ

মহামারিকালের লকডাউনে দিন আর রাতের পার্থক্য আরও কমে এসেছে। এখন সকালের খাবার ‘নাই হয়ে গেছে’ রুটিন থেকে। ঘুম থেকে উঠে এক কাপ চা, আর একবারে গুছিয়ে উঠে দুপুরে খাওয়া—‘নতুন স্বাভাবিকতা’য় এভাবেই হারিয়ে গেছে সকালের নাশতা।

কেউ কেউ ভাবেন, সকালের নাশতা এড়ালে ওজন কমানো যায়। এটা একেবারেই ভুল ধারণা। কারণ, সকালের দিকে শরীরের বিপাকক্রিয়ার হার বেশি থাকে। ফলে যা খাওয়া হয়, তা হজম হয়ে যায়। এ ছাড়া সারা দিনের কাজে সব ক্যালরি খরচ হয়ে যায়। দিন যত গড়ায়, শরীরের পরিপাক হারও বাড়তে থাকে। সূর্য ডুবে যাওয়ার পর পরিপাকের হার কমতে থাকে।

ভাতও থাকতে পারে সকালের নাস্তার টেবিলে
সকালে না খেলে দুপুরে, বিকেলে, সন্ধ্যায়, রাতে, গভীর রাতে খাওয়ার পরিমাণ বাড়ে। কিন্তু পরিপাকের হার আবার সূর্য ডোবার পর থেকে কমে যায়। ফলে ‘বেলা করে’ যেসব খাবার খাওয়া হয়, তা শরীরে জমার প্রবণতা বেশি। ফলে মোটা হওয়ারও প্রবণতা বেশি।
 অন্যদিকে সকালে একটা ভারী নাশতা করলেও সেটা গায়ে লাগে না; বরং ক্যালরিটা খরচ হয়ে যায়। আর সারা দিনে খাওয়ার চাহিদাও কমে যায়। ফলে সন্ধ্যায় বা রাতে খাওয়ার পরিমাণ কমে যায়। এভাবে সকালে সুষম নাশতা খেলে তা ওজন কমতে সাহায্য করে।
সকালে খেতে পারেন খিচুরি

আবার এটি শরীরের শক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে। এ ছাড়া নিয়মিত সকালের নাশতা করলে ডায়াবেটিস, হৃদ্‌রোগ, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদিও নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে অবশ্যই সেটি হতে হবে পুষ্টিকর।
সূত্র: হেলথলাইন ডটকম

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments
Publish Your Own Post Now
Write Post !