skip
Thursday , June 1 2023

ন্যাটো কি ?丨What is NATO ?

NATO প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৪৯ সালের ৪এপিল । উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট বা ন্যাটো (ইংরেজি: North Atlantic Treaty Organisation বা NATO; ফরাসি: Organisation du traité de l’Atlantique Nord বা OTAN) ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি সামরিক সহযোগিতার জোট। ন্যাটো জোটভুক্ত দেশগুলোর পারস্পরিক সামরিক সহযোগিতা প্রদানে অঙ্গীকারাবদ্ধ। আটলান্টিক মহাসাগরের দুই পাড়ে অবস্থিত উত্তর আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা এবং ইউরোপের অধিকাংশ দেশ এই জোটের সদস্য। এছাড়া তুরস্কও এই জোটের সদস্য।

NATO/ন্যাটো (North Atlantic Treaty Organisation) উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট বা ন্যাটো হল ১৯৪৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রতিষ্ঠিত উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ এবং ইউরোশিয়া নিয়ে একটি সামরিক সহযোগিতার জোট। ২৯ সদস্য-দেশের সমন্বয়ে ন্যাটো হচ্ছে বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামরিক সংঘটন। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের আগ্রাসনের হাত থেকে পশ্চিম বার্লিন এবং ইউরোপের নিরাপত্তা বাস্তবায়ন করা। ন্যাটো একটি যৌথ নিরাপত্তা চুক্তি, যে চুক্তির আওতায় জোটভুক্ত দেশগুলো পারস্পরিক সামরিক সহযোগিতা প্রদানে অঙ্গীকারাবদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্রে নাইন-ইলেভেনের সন্ত্রাসী হামলার পর ন্যাটো তাদের রক্ষায় মাঠে নামে। এর প্রত্যেকটি সদস্য রাষ্ট্র তাদের সামরিক বাহিনীকে যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রাখতে বদ্ধপরিকর। সকল সদস্য দেশের বর্তমান লক্ষ্যমাত্রা জিডিপি’র ২ শতাংশ ব্যয়ের জন্য মনোনিবেশ করা উচিৎ বলে ন্যাটোর পক্ষ থেকে আওভান জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যে, ২০১৮ সালে ৭টি সদস্য দেশ সামরিক খাতে এই ব্যয় বাড়াতে সক্ষম হয়েছে।

ন্যাটো গঠন ও সংক্ষিপ্ত পরিচিতিঃ

সোভিয়েত ইউনিয়ন কে রুখতে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে ১৯৪৯ সালের ৪ এপ্রিল ১২ টি দেশের সমন্বয়ে এই নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি (যা ওয়াশিংটন ট্রিটি নামেও পরিচিত) বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে স্বাক্ষরিত হয়। মূলত সোভিয়েত ইউনিয়নের আগ্রাসন ও পশ্চিম ইউরোপীয় দেশ সমূহের স্বাধীন অখণ্ডতা বজায় রাখা ছিল এই চুক্তির মূল উদ্দেশ্য। চুক্তির পঞ্চম আর্টিকেলে সংগঠনটির মূলনীতিতে বলা আছে যে,” ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকায় সংগঠনটির কোন সদস্য দেশ বা দেশসমূহের অন্য কোন দেশ সামরিক হামলা করলে তা সংগঠনের সকল সদস্যের উপর হামলা হিসবে বিবেচিত হবে। আর যদি এমন হামলা হয় তাহলে জাতিসংঘ চার্টারের ৫১ নং আর্টিকেল অনুযায়ী একক অথবা সংঘবদ্ধভাবে শত্রুর মোকাবেলা করা হবে। প্রয়োজনে সামরিক হামলাও চালানো হবে এবং উত্তর আটলান্টিক এর দেশসমূহের নিরাপত্তা বজায় রাখা হবে।”

এছাড়াও গণতন্ত্র বাস্তবায়ন ও ইউরোপ ও আমেরিকা তথা বিশ্ব নিরাপত্তা বজায় রাখার উদ্দেশ্য নিয়ে সংগঠনটি কাজ শুরু করে। ইউরোপের সকল দেশের জন্য সংগঠনটি উন্মুক্ত রাখা হয়।

১৯৫০ সালে কোরিয়া যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে যুক্তরাষ্ট্র হুশিয়ারি সংকেত পেয়ে যায়। এবার যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়াকে থানানোর জন্য কন্ট্রেইনমেন্ট পলিসি নিয়ে সামনে আসে। এরপর আস্তে আস্তে যুক্তরাষ্ট্র পিছন থেকে নর্থ আটলান্টিক ট্রিটিকে সংগঠনের রূপ দান করে। বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ডেলিগেশন চলতে থাকে। এবং ন্যাটো এভাবেই একটি সংগঠন হিসেবে দাঁড়িয়ে যায়।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments
Publish Your Own Post Now
Write Post !