জীবনে ব্যার্থতা বলে কিছু নেই । তবে কিছু সময় আমরা আমাদের আশা ও আকাঙ্ক্ষা অনুসারে পায় না, কিন্তু এর অর্থ ব্যার্থতা নয় । মনে রাখবেন সফলতা কখনোই প্রথম বারেই ধরা দেয় না, যারা এ পর্যন্ত সফলতা অর্জন করেছে তাদের ইতিহাস দেখুন প্রমান পেয়ে যাবেন ।
ইলন মাস্ক (Elon Musk) সম্পর্কে একটু জেনে নিন
ইলন মাস্ক নামটি শুনেন নি এমন মানুষ খুব কম আছে । তিনি ১৯৯৫ সালে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের জন্য ক্যালিফোর্নিয়ায় চলে এসেছিলেন তবে তিনি তার ভাই কিম্বলের সাথে ওয়েব সফটওয়্যার সংস্থা জিপ ২-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা, ব্যবসায়ের পেশা গ্রহণের পরিবর্তে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। স্টার্টআপটি কমপ্যাক দ্বারা ১৯৯৯ সালে ৩০৭ মিলিয়ন ডলারে অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। মাস্ক একই বছর অনলাইন ব্যাংক এক্স ডটকমের সহ-প্রতিষ্ঠিতা , যা ২০০০ সালে কনফিনিটির সাথে একীভূত হয়ে পেপাল সংস্থা গঠন করে এবং পরে ইবে তা ২০০২ সালে ১.৫ মিলিয়ন ডলারে কিনেছিল।
২০০২ সালে, মাস্ক একটি মহাকাশ প্রস্তুতকারক এবং মহাকাশ পরিবহন পরিষেবা সংস্থা স্পেসএক্স প্রতিষ্ঠা করেছিল, তিনি যার সিইও, সিটিও এবং সীসা ডিজাইনার ছিলেন। ২০০৪ সালে, তিনি বৈদ্যুতিক যান প্রস্তুতকারক টেসলা মোটরস, ইনক (বর্তমানে টেসলা, ইনক) এর চেয়ারম্যান এবং পণ্য স্থপতি হিসাবে যোগদান করেছিলেন, এবং ২০০৮ সালে এর সিইও হন। ২০০৬ সালে, তিনি সোলারসিটি, একটি সৌর শক্তি পরিষেবা সংস্থা এবং বর্তমান টেসলার সহায়ক সংস্থা তৈরিতে সহায়তা করেছিলেন। ২০১৫ সালে তিনি সহ প্রতিষ্ঠা করেন ওপেনএআইএ-এর একটি বেসরকারী গবেষণা সংস্থা, যা বন্ধুত্বপূর্ণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রচার করে। ২০১৬ সালে, তিনি মস্তিস্ক – কম্পিউটার ইন্টারফেস বিকাশের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে নিউরোটেকনোলজি সংস্থা নিউরালিংক-এর সহ-প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং সুরঙ্গ নির্মাণকারী সংস্থা দ্য বোরিং সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মাস্ক হাইপারলুপ নামে একটি উচ্চ-গতির ভ্যাকট্রিন পরিবহন ব্যবস্থাও প্রস্তাব করেছে।
অপ্রচলিত বা অবৈজ্ঞানিক অবস্থান এবং উচ্চ প্রচারিত বিতর্কের কারণে মাস্ক সমালোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০১৮ সালে, তাকে একজন ডুবুরির মানহানির জন্য মামলা করা হয়েছিল যিনি থম লুয়াং গুহা উদ্ধারে পরামর্শ দিয়েছিলেন; ক্যালিফোর্নিয়ার একটি জুরি মাস্কের পক্ষে রায় দিয়েছে। একই বছর, ইউএস সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) তার বিরুদ্ধে মিথ্যা টুইট করে যে টেসলার একটি বেসরকারী টেকওভারের জন্য তহবিল সুরক্ষিত করেছে বলে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। তিনি এসইসির সাথে সমঝোতা করেছিলেন, অস্থায়ীভাবে তাঁর সভাপতিত্ব থেকে সরে আসেন এবং তার টুইটার ব্যবহারের সীমাবদ্ধতা স্বীকার করেন। মাস্ক কোভিড-১৯ মহামারী সম্পর্কে ভুল তথ্য ছড়িয়েছেন এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং পাবলিক ট্রান্সপোর্টের মতো বিষয়ে তার অন্যান্য মতামতের জন্য বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে সমালোচনা পেয়েছে।
সূত্রঃ https://bn.wikipedia.org
জীবনে হাল ছাড়ার আগে কথাগুলো মনে রাখুন জীবন বদলে যাবে
যে ব্যাপারে তুমি সত্যিই বিশ্বাস করাে । সে ব্যাপারে কখনাে হাল ছেড়াে না, পথ তুমি খুঁজে পাবেই ।তুমি ব্যর্থ কেন হয়েছে, কার কারণে হয়েছে সেগুলাে কেউ জানতে চাইবে না। তুমি ব্যর্থ হলে তার যন্ত্রণা
শুধুমাত্র তােমাকেইসইতে হবে, কেউ তােমার পাশে এসে দাঁড়াবে না। তাই কখনাে অন্যদের সুযােগ দিও না তােমার জীবনকেনিয়ে খেলাড়। সবাইকে দেখিয়ে দাও তােমার ভীতরেও কিছু আছে।
প্রত্যেকের জীবনের একটা গল্প আছে। অতীতে ফিরে গিয়ে গল্পের শুরুটা কখনাে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। কিন্তু কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে গল্পের শেষটা চাইলেই নতুন করে সাজিয়ে তুলতে পারাে।কখনাে ভেঙে পড়াে না। পৃথিবীতে যা কিছু হারিয়ে যায়, অন্য কোন রূপে সেটি ঠিকই আবার ফিরে আসে জীবনে।
একটি লক্ষ্য ঠিক করাে। সেই লক্ষ্যকে নিজের জীবনের অংশ বানিয়ে ফেলাে। চিন্তা করাে স্বপ্ন দেখাে ,কোন কিছু যদি সত্যিই তােমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয় । কোন বাধাই তােমাকে থামাতে পারবে না। এখন আপনিই ভাবুন আপনার SUCCESs আপনার কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
তােমার মস্তিষ্ক, পেশী , রক্তনালী পুরাে শরীরে সেই লক্ষ্যকে ছড়িয়ে দাও , আর বাকি সবকিছু ভুলে যাও।—এটাই সাফল্যের পথ।
আমি ব্যর্থতাকে মেনে নিতে পারি । কিন্তু আমি চেষ্টা না করাকে মেনে নিতে পারি না।ওরা তােমাকে নিয়ে ঠাট্টা করুক, তােমাকে নিয়ে হাসুক, তােমাকে আঘাত করুক, অবজ্ঞা করুক তাতে কিছুই হবে না। কিন্তু তারা যেন তােমাকে থামাতে না পারে।
তােমার স্বপ্ন আর তােমার মাঝে দাঁড়িয়ে আছে কেবল একটি জিনিস, সেটি হচ্ছে অজুহাত! যে মুহূর্ত থেকে তুমি নিজেকে অজুহাত দেখানাে বন্ধ করে কাজ শুরু করবে, সে মুহূর্ত থেকে তােমার স্বপ্ন আর স্বপ্ন থাকবে না — সেটি বাস্তবে রূপ নিতে শুরু করবে।