গর্ভাবস্থায় একজন নারীর কোন খাবারগুলো এড়িয়ে চলা উচিৎ
উচ্চ পারদযুক্ত মাছ
পারদ অত্যন্ত বিষাক্ত। গর্ভবতী মহিলাদের এক মাসে এক বা দুইবারের বেশি মাছ খাওয়া একদমই উচিত নয়। উচ্চ পারদযুক্ত মাছের মধ্যে টুনা, শার্ক, কিং ম্যাকারেল, সোর্ডফিশে, কিং ম্যাকেরেল এবং টাইল ফিশ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
কাঁচা স্প্রাউটস
স্প্রাউটস খুব স্বাস্থ্যকর একটি খাবার। তবে রান্না না করা স্প্রাউটস গর্ভবতী মহিলাদের পক্ষে ভাল নয়। কাঁচা স্প্রাউটস-এ সালমোনেলারমতো ব্যাকটিরিয়া থাকতে পারে। রান্না করার পরে এটা দূর হতে পারে। গর্ভবতী মহিলারা রান্না করা হলে তবেই এটি খান।
ক্যাফেইন
অনেকের মধ্যেই চা বা কফি খাওয়ার প্রবণতা আছে। স্ট্রেস কমাতে অনেকে এক কাপ চা বা কফি বেছে নেন। চেষ্টা করুন এই প্রবণতা কমানোর বা এর থেকে দূরে থাকার। অতিরিক্ত ক্যাফেইন শরীরে গেলে মিসক্যারেজের সম্ভাবনা বা কম ওজনের শিশু হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
আনারস
আনারস আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি হলেও এর থেকে অন্তঃসত্ত্বাদের দূরে থাকাই ভাল, কারণ আনারসে উপস্থিত ব্রোমেলাইন নামের উৎসেচক গর্ভপাতের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয় এবং নির্দিষ্ট সময়ের আগেই প্রসব হয়ে যেতে পারে। গর্ভধারণের প্রথম তিন মাস এই ফলটি না খাওয়াই ভালো। পরে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খেতে পারেন। তবে সবথেকে ভালো হয় যদি হবু মা গোটা প্রেগনেন্সি পিরিয়ডে আনারস
আঙুর
গর্ভাবস্থায় যেকোনও ধরনের আঙুর এড়ানোই ভালো, সে সবুজ হোক বা কালো। আঙুরের মধ্যে থাকা রেজভেরট্রোল গর্ভবতী মহিলাদের জন্য বিষাক্ত হতে পারে। এছাড়া আঙুর আম্লিক প্রকৃতির হওয়ায় এটি গর্ভস্থ শিশু ও মায়ের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
কাঁচা পেঁপে
গর্ভাবস্থায় কাঁচা পেপে একেবারেই খাবেন না। কাঁচা পেপে খেলে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই প্রসব হয়ে যেতে পারে। পেঁপেতে থাকা পেপ্সিন ও প্যাপাইন ভ্রূণের ক্ষতি করে। পেঁপে দেহের তাপমাত্রাও বাড়িয়ে তুলতে পারে, যা গর্ভবতীদের জন্য ভাল নয়। আবার পেঁপের ল্যাটেক্স গর্ভপাতের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।
তেঁতুল
প্রেগনেন্সির সময় টকজাতীয় কিছু খেতে সব মায়েরই ভাল লাগে। তেঁতুলে থাকে ভিটামিন সি, যা প্রোজেস্টেরন উৎপাদনে বাধা দেয়। অন্তঃসত্ত্বার শরীরে প্রোজেস্টেরন কম থাকলে গর্ভপাত হতে পারে। তাই তেঁতুল থেকে প্রতিটি হবু মা দূরে থাকুন।
Post a Comment
Use Comment Box ! Write your thinking about this post and share with audience.