What is the solution to the problem of unemployment ?
করোনাকালীন বেকার সমস্যা ও সমাধান
দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলেই মানুষ ঘুরে দাঁড়ায়। তার আগে একটু একটু করে পিছতে পিছতে আমরা পশ্চাৎপ্রসারণ প্রথা অনুসরণ করে সামনে আর আগাতে পারি না।
শিখছো কোথায়?
ঠেকছি যেথায়।
কেউ দেখে শেখে কেউ ঠেকে শেখে৷ তবে সবাই শেষ পর্যন্ত শেখে৷ শিখতে বাধ্য।
চালাকরা দেখে শেখে আর ঠেকে শেখে বোকারা।
যেমন ধরুন মিনা কার্টুন দেখে দেখে গত ১০ বছরেও হাত ধোয়ার বিষয়টি রপ্ত করতে পারিনি কিন্তু যেই করোনা এলো অমনি আমরা সকাল বিকাল হাত ধুয়ে ঘষে মেজে কালো হাতও ফর্সা বানিয়ে ফেলছি।
কারণ আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে।
আসুন এই দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পরের দিন গুলো আমরা কি করবো ভেবে রাখি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ আমাদের দেশের জ্ঞ্যানী গুনিজনরা বারবার বলছে এই করোনা ভাইরাস সহজে বা খুব শিগগিরই পৃথিবী থেকে বিদায় নেবেনা।
কোন ঝড়ই চিরস্থায়ী নয়। আইলা সিডর নার্গিস বিলকিস বুলবুল আম্পান এসেছে আবার চলেও গেছে। যাবার আগে খানিক লণ্ডভণ্ড করে দিয়ে গেছে যা সময়ের সাথে সাথে ক্ষত বা ক্ষতি পুরণ করে নিয়েছি৷ কিন্তু করোনা ভাইরাস এত যাবে বলে মনে হচ্ছে না তাই করোনা পরিস্থিতি নিয়েই আমাদেরকে বেঁচে থাকা শিখে নিতে হবে।
এই শিখে নেওয়াটা অনেকটা বাধ্যতামূলক মানুষ শিখে যাবে বা অভ্যস্ত হয়ে যাবে।
যেমন -
১/ মানুষ ঘরে বসে চিত্তোন্নতির জন্য চিত্তোবিনদের ব্যাবস্থা করে ফেলবে। যার ফলে বাসা বাড়িতে শখের বাগান সহ সহস্তে নিজস্ব পোশাক বানাতে শুরু করে দেবে৷
২/ ঘরে বসে কাঁচাবাজার সহ মাছ মাংস অনলাইনে কেনাকাটা করার অভ্যাস গড়ে তুলবে বা ফ্যাশন হয়ে দাঁড়াবে।
৩/ মাস্ক পরা আর করোনাকালীন ব্যাবহারকৃত বস্তু হবেনা। এটা নিত্ত প্রয়োজনীয় বস্তু হিসেবে বিবেচিত হবে।
৪/ হ্যান্ডশেক এবং কোলাকুলি করে ভ্রাতৃত্ব প্রদর্শনের নিয়ম উঠে যাবে৷
এ ছাড়াও নানা নিয়ম ও ফ্যাশন চালু হয়ে যাবে যা সময় এলেই দেখা যাবে৷
এই সময় ব্যাবসা বানিজ্যের আমুল পরিবর্তন ঘটবে৷ এখন যারা বেকার তাদের জন্য এই লেখাটি । আপনি যদি পরিবেশ পরিস্থিতির সাথে তাল মিলিয়ে পা না ফেলতে পারেন তাহলে আপনাকে পিছিয়ে যেতে হবে।
যাকে বলে ব্যাকডেটেড।
আগেই বলেছি চালাকেরা দেখে শেখে ঠেকে শেখে বোকারা।
আপনি এখন নিজেই সিদ্ধান্ত নিন আপনি কোন দলে থাকবেন।
আপনি বেকার। আজই আপনি করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে কি করবেন কিভাবে রুটি রুজির ব্যাবস্থা করবেন ঠিক করে ফেলুন।
মনে রাখবেন আপনার অনার্স-মাস্টার্স সার্টিফিকেট গলায় ঝুলিয়ে রাখলেও পেট কিন্তু ভরবে না। পেট শিক্ষিত মূর্খ বোঝেনা।
যথা সময়ে জানান দেবে ভাত দে ------
বেটা ভাত দে।
তখন মানচিত্র চিবিয়ে খান আর সার্টিফিকেট চিবিয়ে খান কোন কিছুতেই পেট মানবে না।
আপনি হয়তো ভাবছেন এই মুহূর্তে কি করার আছে?
ভাই আপনি কালই বেরিয়ে পড়ুন। মাস্ক হ্যান্ডগ্লোভস পরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলুন আপনি একটা ব্যাবসা খুলেছেন। একেবারেই নতুন।
কাঁচাবাজারে যান সমস্ত সবজি মাছ মাংসের ছবি তুলুন দাম লিখুন। অবশ্যই বাজারের চেয়ে একটু বেশি দাম লিখুন কারণ এটা আপনার ব্যাবসা। বেগার দিচ্ছেন না।
তারপর যারা বাজার নিতে চায় আপনি বাজার করে দিন। হোম ডেলিভারির জন্য পঞ্চাশ টাকা নিবেন। আর বাজার থেকে পঞ্চাশ টাকা লাভ নিবেন। ব্যাস ১০০ টাকা হয়ে গেলো।
একমাস কষ্ট করুন। ব্যাপক প্রচার করুন। ফেসবুকে পোষ্ট দিন। লাইভে আসুন বাজার থেকে। এক মাস পর আর আপনাকে পিছু ফিরে তাকাতে হবে না ইনশাআল্লাহ। অন্যান্য কাজও করতে পারেন সব হোম ডেলিভারি।
একেবারেই স্বল্প পুজি লাগবে৷ আপনাকে দোকানের পজিশন কিনতে হবেনা। মালামাল কিনে সারাদিন বসে থাকতে হবেনা।
লোস হবার সম্ভাবনা নেই৷
ভাবছেন বলা সহজ করা কঠিন। জ্বি ভাই করা খুবই কঠিন। ইগো যদি হাই লেবেলের হয় তাহলে এই লেখা আপনার জন্য না।
আপনার টাকা বা মামা খালুর জোর থাকলে এই লেখা আপনার জন্য না৷
আমি নিতান্তই আমার মত খেটে খাওয়া মানুষের কথা বলছি।
একটা আইডিয়া বললাম মাত্র৷
বাকিটা করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে আর কি কি করা যায় নিজেই ভাবুন।
দিন আসছে হোম ডেলিভারির।