Easy way to be smart and how to be smart very easily ?

খুব সহজে কোন কিছুই সম্ভব না যেকোনো কিছু করতে অবশ্যই কিছু সময় এবং সঠিক অভ্যাস গড়ে তোলার প্রয়োজন পড়ে । তবে কিছু বিষয় আছে যেগুলো নিয়মিত অনুশীলন এবং সঠিক উপায়ে মেনে চললে সেগুলো করা সম্ভব হয় খুব সহজে স্মার্ট হওয়া যায়না আপনার দীর্ঘদিনের অল্প অল্প অনুশীলনের দ্বারা এবং আপনার নিজের সুকৌশলে আপনি নিজেকে স্মার্ট করে তুলতে পারবেন । কিছু কিছু বিষয় অবশ্যই মনে রাখতে হবে যেমন -
ভালো ব্যক্তিদের সাথে মেলামেশা করুন
একটি বিষয়ে হয়তোবা আপনার অজানা নয় ভালো ব্যক্তিদের সাথে চলাফেরা করলে অবশ্যই আপনার ভালো কিছুই হবে । সঙ্গ দোষে লোহা ভাসে এই ধরনের একটি প্রবাদ অবশ্যই আপনি শুনেছেন । এই ধরনের প্রবাদ যারা আমাদের জন্য রেখে গেছেন তারা অবশ্যই প্রকৃতির বাস্তবতার সম্মুখীন হবার পরেই এ ধরনের প্রবাদ তৈরি করেছেন । তাই নিজের ভবিষ্যৎকে সুন্দর করে তুলতে অবশ্যই ভালো ব্যক্তিত্বের মানুষের সাথে চলাফেরা করতে হবে । ইস্মার্ট বলতে আমরা শুধু চাকচিক্য সাদামাটা চেহারা বুঝি সেটা কিন্তু নয় । স্মার্ট শব্দটির দাঁড়া প্রকৃতিগত ভাবে বোঝানো হয়েছে নিজেকে সুন্দর ভাবে অন্যের সামনে উপস্থাপন করা এর সাথে আপনার চেহারার কোনো সম্পর্ক নেই কারণ সেটি তো ঈশ্বরের দান । আর ঈশ্বরের সৃষ্টি কে কিভাবে আপনি নিজে বদলাবেন
সর্বদা শান্ত থাকুন
যেকোনো কথায় খুব করে মেজাজ গরম হয়ে যাওয়া বা অন্যের কথাকে অবজ্ঞা করা এগুলো মোটেও ভালো লক্ষণ নয় যদি এই ধরনের কোন গুণ আপনার মধ্যেই থেকে থাকে তবে সেটা ত্যাগ করে ফেলুন । নিজেকে সর্বদা শান্ত রাখার চেষ্টা করবেন এটি করতে পারলে আপনি দুইটি সুবিধা পাবেন । প্রথমত আপনি খুব অল্প সময়ে অন্যের কাছে জনপ্রিয় হয়ে যাবেন এটাও স্মার্ট হওয়ার থেকে কম কিছু নয় । দ্বিতীয়তঃ আপনি অনেক ধরনের বিপদ থেকে খুব সহজে এড়িয়ে যেতে পারবেন কারণ বিপদে পড়লে আমরা অনেকেই উত্তেজিত হয়ে যায় । তাই নিজেকে শান্ত রাখতে পারলে আপনি এক্ষেত্রেও নিজেকে নিজের বিপদ থেকে সুকৌশলে রক্ষা করতে পারবেন ।
সময়ের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিন
আমাদের পৃথিবী ও সমাজ প্রতিনিয়ত আপডেট হচ্ছে তাই প্রকৃতি ও সমাজ এর সাথে আপনাকে তাল মিলিয়ে চলতে হবে । মনে মনে রাখবেন সময়ের সাথে সাথে নিজেকে পরিবর্তন না করতে পারলে সমাজ ও সময় এই দুটোই আপনাকে ছুরে সমাজের বাইরে ফেলে দেবে । কেউ আপনার সাথে মিশতে চাইবে না । তাই সর্বদা নিজের জ্ঞানকে প্রসারিত করুন এবং বর্তমান বিশ্বকে বোঝার চেষ্টা করুন সেই সাথে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বিষয় শেখার চেষ্টা করুন । এটা করতে পারলে আপনি খুব অল্প সময়ে অনেকের সাথে মিশতে পারবেন এবং খুব স্মার্ট ভাবে অন্যের সাথে যোগাযোগ গড়ে তুলতে পারবেন ।
বই পড়ুন
বই পড়ার অভ্যাস থাকলে সেটা কখনোই খারাপ না হয়তো আপনি অনেকেই দেখেন রাস্তার পাশে অথবা চায়ের দোকানে হাতে কোন পত্রিকা এবং সেটি সে মন দিয়ে পড়ছে । আপনি তখন হয়তোবা ভাবেন এটা কি ঘটছে আপনার কাছে এটি বিরক্ত লাগলেও এটা মোটেও বোকামি নয় । যত জানবেন নিজের জ্ঞানকে আপনি প্রসারিত করতে পারবেন এভাবে তো পত্রিকা পড়া বই পড়া এগুলো খুব ভালো অভ্যাসের মধ্যে পড়ে । তবে কোনকিছুই অতিরিক্ত ভালো নয় নিয়মিত কিছু সময় আপনি এগুলোর অভ্যাস করতে পারেন এতে করে আপনার মানসিক মানবিক ও জ্ঞানের দিকটাও প্রসারিত হয়ে যাবে ।
যুক্তি দিয়ে কথা বলুন
কোন একটি চায়ের দোকানে বসে আছি কোন কিছু না বুঝে শুনেই অন্য একজনের একটি টপিকের ওপর এ হুট করে কিছু বলে ফেললাম এবং সেটি নিয়ে নিজের ভুল কনফিডেন্স এর দ্বারা ভুল সঠিক প্রমাণ করে দিলাম আর এটা করতে পারলেই বিজয়ী ! এই ধরনের কাজগুলো যারা করে থাকেন তারা কখনোই স্মার্ট হওয়া তো দূরের কথা এরা কোন প্রকার সমাজে চলাফেরা করতে পারবেনা । কোন বিষয় হুট করে বিতর্কে জড়াবেন না বিষয়টি বুঝুন এবং সে সম্পর্কে আপনার যদি সঠিক জ্ঞান থেকে থাকে সেটি ঠান্ডা মাথায় অন্যকে বুঝিয়ে বলুন, আপনার বলার পরেও যদি সে না বোঝে তবে সেটা আপনার ব্যর্থতা নয় স্থান পরিবর্তন করুন ।
জামা কাপড়ের সঠিক সেন্স রাখুন
কোথায় কোন ধরনের জামা কাপড় পড়তে হবে এ ব্যাপারে নিজেকে সর্বদা সচেষ্ট রাখতে হবে । কিছু পোশাক আছে যেগুলো পড়লে হয়তো আমরা নিজের কাছে খুব সুন্দর মনে করি তবে পোশাকটি কোন স্থানে কি কাজে ব্যবহার করছেন সেটি অবশ্যই মাথায় রেখে পোশাক পরিধান করুন ।
তবে এর অর্থ এই নয় যে আপনি সর্বদা ফুল শার্ট ইন করে পড়ে ঘুরে বেড়াবেন সেটা করার কোন প্রয়োজন নেই আপনার প্রয়োজন অনুসারে যখন যেটা দরকার সেটি নিজে বুঝতে চেষ্টা করুন এবং সে অনুযায়ী পোশাক নির্বাচন করুন ।
সর্বদা খুশি মনে থাকুন
মনে রাখবেন নিজেকে খুশি করতে না পারলে অন্যকে কখনোই খুশি করতে পারবেন না । আর অন্য একজন যখন আপনার সাথে মিশতে আসবে সে যদি একটু হাসি খুশি না পায় তবে নিজের ভেবে দেখুন সে কেন আপনার সাথে মিশবে বা কথা বলবে ।
তাই সর্বদা নিজেকে হাসি খুশি রাখুন নিজেকে নেগেটিভ চিন্তাভাবনা ভেতরে জড়াবেন না সব সময় পজিটিভ থাকার চেষ্টা করুন এবং পজেটিভ ব্যক্তিত্বের মানুষের সাথে উঠাবসা করুন ।
শরীর ফিট রাখুন
নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি সর্বদা যত্নশীল হতে হবে কারণ নিজের শরীর যদি ঠিক না থাকে তবে স্মার্ট হয়ে আর কি লাভ । এত কিছু শিখে স্মার্ট হয়তোবা হয়েও গেলাম কিন্তু সারাদিন অসুস্থ হয়ে অথবা দুদিন পর পর অসুস্থ হয়ে বিছানায় পড়ে থাকলাম সেই স্মার্টনেসের কোন কাজই হবে না । নিয়মিত ব্যায়াম এবং পরিমিত খাবার গ্রহণ করুন যাতে করে আপনার শরীর সম্পূর্ণ সুস্থ থাকে শরীর ভাল থাকলে মন এমনিতেই ভালো হয়ে যাবে । একটি কথা আছে সুস্থ মানুষের চিন্তা-ভাবনা অসুস্থ হয় কথাগুলো মোটেও ফেলে দেয়ার নয় তাই নিজেকে সুস্থ রাখুন ।
অন্যদের ছোট করা থেকে বিরত থাকুন
একই সমাজে চলতে গেলে অনেক ধরনের মানুষের সাথে আমাদের ওঠা বসা করতে হয় এরমধ্যে সকলকেই যে আপনি নিজের মতো করে পাবেন সেটি কিন্তু মোটেও নয় । হতে পারে অন্য কেউ আপনার থেকে একটু কম বোঝে , তাকে আপনি না বসিয়ে তার দুর্বলতা নিয়ে আলোচনা করছেন এবং হাসাহাসি করছেন এটি কখনোই ক্ষমা যোগ্য হবেনা । এবার আপনি প্রশ্ন করতে পারেন এটি করলে আপনার কি শাস্তি হবে !
এটি শাস্তি হয়তো কোনো আইনের আওতায় আসবে না কিন্তু যদি আপনি ঈশ্বরকে বিশ্বাস করে থাকেন তবে মনে রাখবেন এর শাস্তি ঈশ্বরই আপনাকে ঠিক সময়মতো দিয়ে দেবে । ঘরের কইলে ঘরে হয়” এই ধরনের একটি কথা হয়তো আপনি শুনে থাকবেন হ্যাঁ অবশ্যই সত্যি কথা । অন্যের বিপদে অন্যের কোন সমস্যা নেই আপনি যদি হাসাহাসি করেন তবে তার কোন আলাদা করে ক্ষতি হবে না ভবিষ্যতে আপনিও ঠিক একই ক্ষতির সম্মুখীন হবেন অথবা অন্য কোন বিপদ আপনার কাছে আসবে অন্য কোন রূপ নিয়ে ।
তাই অন্যের বিপদে বা অন্যের দুর্বলতা নিয়ে কখনো হাসাহাসি করবেন না পারলে থাকে শেখানোর বিপদ থেকে উদ্ধারের উপায় বলে দিন অথবা এটি না করতে চাইলে চুপ করে থাকুন উপকার না করতে পারলেও অন্তত কারো ক্ষতি করতে যাবেন না ।