skip
Friday , March 24 2023

মায়া থেকে বেড়িয়ে আসার সহজ উপায় কি ?

0%

100

User Rating: 4.66 ( 2 votes)

জীবনপথে একটা লক্ষ‍্য স্থির করে এমন জোরে একটা দৌড় দিন যেন কয়েক বছরের আগে থামা না হয়। দৌড় শুরু করাটা কষ্টের হবে। কিন্তু একবার শুরু করে দিলে ভালো লাগতে শুরু করবে। তখন আর এতো কষ্ট লাগবে না।

নিজেকে ভিন্ন দিকে ডাইভার্ট করুন।
কাউকে ভুলে যেতে চাইলে সামাজিক মাধ্যমে তাকে অনুসরণ করা বন্ধ করুন।
লুকিয়ে লুকিয়ে হলেও তাকে স্টক করা বন্ধ করুন।
নতুন চিন্তা করুন।
নিয়মিত পড়াশোনা করুন।
উৎপাদনশীল কাজে জড়িত হোন।
নিজেকে ব্যস্ত রাখুন।
বাস্তববাদী ও যুক্তিবাদী হোন।
আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করা শিখুন।

১.ভয় ও উদ্বেগ থেকে বিরত থাকা – যখন কোন বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে যাই তখন ঝুঁকি, সিন্ধান্তটির সাফল্যের অনিশ্চয়তার কারণে, সাধারণতো আমরা ব্যর্থতা, ক্ষতি বা প্রত্যাখ্যানের ভয় পেয়ে থাকি l ভয় এবং উদ্বেগের অনুভূতিগুলো যখন সিদ্ধান্ত এর বিষয়গুলো থেকে আলাদা করে দূরে সরাতে পারি, তখন আমরা সুরক্ষিত বোধ করি l দুশ্চিন্তা, ভয় আমাদের চিন্তাভাবনার ক্ষমতাকে রুদ্ধ করে দেয়, জীবনের ছোটো ছোট সমস্যাগুলোকে অনেক বড়ো আকারে আমাদের সামনে তুলে ধরে এবং সমাধানের উপায়কে আমাদের থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যায় l

কোনো বিষয় সম্পর্কে অজানা বা অভিজ্ঞতার অভাব আমাদের মনে সাধারণতো ভয় বা উদ্বেগের সৃষ্টি করে l ভয় কাটিয়ে ওঠার জন্য আগে আমাদের সচেতনত হতে হবে যে আমরা আমাদের প্রতিদিনের জীবনে কী ধরনের ভয় সচেতন বা অবচেতন মনে পেয়ে থাকি l এই ভয় গুলোর মুখোমুখি হয়ে অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যমে বিষয়গুলোর সম্পর্কে উদ্বেগ অনেকটাই কাটিয়ে উঠে খোলা মাথায় বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করে সিদ্ধান্ত সহজে নিতে পারি l

২.সিদ্ধান্তের বিষয়টির বিভিন্ন বিকল্প উপায় সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা তৈরী করা -কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিষয়টির বিকল্প উপায়গুলোর ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিকগুলোর সম্পর্কে যতটা সম্ভব জ্ঞান বাড়ানো যায় সেই সম্পর্কে সচেতনথাকা l জ্ঞান নতুনকে আমাদের কাছে পরিচিত করে তোলে এবং ঝুঁকি বা অনিশ্চয়তা সম্পর্কে ভয় কমিয়ে উদ্বেগ হ্রাস করে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহায্য করে l

৩.আত্মবিশ্বাসী থাকা –

আত্মবিশ্বাসহীন মানুষ বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় অসহায় বোধ করে, হতাশাগ্রস্ত হয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে l এর ফলে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও জীবনে সাফল্যের সম্মুখীন হতে পারেনা l তাই বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হলেও আত্মবিশ্বাস বজায় থাকলে মানুষ সহজে জীবনে এগিয়ে চলার বিষয় সম্পর্কে সহজে সিদ্ধান্ত নিতে পারে l

৪.বড়ো লক্ষ্যকে ছোটো ছোটো পদক্ষেপে বিভক্ত করা –

জীবনের বড়ো লক্ষ্য এর সাথে সম্পর্কিত ছোটো ছোটো পদক্ষেপ গ্রহণ এবং তার সাফল্য অর্জন করা l ছোট ছোটো সাফল্য এবং আত্মবিশ্বাস সেতু বন্ধন করে বড়ো লক্ষ্য পূরণের ক্ষেত্রে lজীবনের লক্ষ্যপূরণ থেকে প্রাপ্ত আত্মবিশ্বাস আমাদের সিদ্ধান্তহীনতা থেকে দূরে রাখে l

৫.জীবনে ঝুঁকি নেওয়া কিন্তু অনিয়ন্ত্রিত সীমাহীন ঝুঁকি থেকে বিরত থাকা – জীবনের উন্নতি চাইলে ঝুঁকি নেওয়ার বিকল্প নেই। জীবনে এগিয়ে চলতে হলে নিজের আরামদায়ক এলাকা থেকে বেরিয়ে এসে জীবনে ঝুঁকি নিতে হবে l জীবনে নিয়ন্ত্রিত ঝুঁকি কোনো বিষয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণকে সহজ করে তোলে l

৬.ভুলের দায় নিজে স্বীকার করা –

বড় কোনো ভুলের পর একে অন্যকে দায়ী করার বদলে ভুলের জন্য নিজের দায় স্বীকার করুন l এই ঝুঁকি আপনার উন্নতির নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে। এছাড়া পরিস্থিতি এমন হতে পারে যে, অন্যকে দায়ী করার পরও দোষ আপনার দিকেই ইঙ্গিত করতে পারে। এক্ষেত্রে আগেই দোষ স্বীকার করা বুদ্ধিমানের কাজ। পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, বড় কোনো ভুলের পর তা থেকে পালিয়ে যাওয়া কোনো কাজের বিষয় নয়। ভুল স্বীকার করে নেওয়া এক্ষেত্রে আপনার জন্য কার্যকর উপায় হতে পারে। এটি আপনার মানসিকতাও উন্নত করতে সহায়তা করবে, আপনি অভিজ্ঞতা অর্জন করে নিজের উন্নতি সাধনের মাধম্যে জীবনের পরবর্তী কাজের জন্য সহজে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেনl

৭.নিজের ইচ্ছেকে গুরুত্ব দেওয়া –

পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির চাপে নিজের মনের ইচ্ছাকে দমিয়ে রেখে, ভালো লাগা, খারাপ লাগাকে দাবিয়ে রেখে ভেতরে ভেতরে গুমরে থাকা মানসিক ও শারীরিক অসুস্থতার সাথে ধীরে ধীরে সিদ্ধান্তহীনতার কারণ হয়ে ওঠে l তাই নিজের ইচ্ছেকে গুরুত্ব দেওয়ার মাধ্যমে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ্য থাকার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণকে সহজ করে তুলুন l নিজের ইচ্ছেকে প্রাধান্য দিয়ে নেওয়া সিদ্ধান্ত আমাদের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তুলে সাফল্য এনে দিতে সাহায্য করে l

৮.কাজের সক্ষমতা সম্পর্কে সচেতন থাকা – কোনো কাজে মানসিক শারীরিক ভাবে সক্ষমতা সম্পর্কে সচেতনতা আমাদের সিদ্ধান্তগ্রহণকে অনেক সহজ করে তোলে l

৯.অতীতে নেওয়া সিদ্ধান্ত থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন করা –

অতীতে গৃহীত সিদ্ধান্ত ভুল ঠিক যাইহোক না কেনো হতাশায় না ডুবে বা সাফল্যের আনন্দে নিজেকে না হারিয়ে ফেলে অভিজ্ঞতাকে সামনে চলার পথে উপস্থিত করা আমাদের পরবর্তী কাজের জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করে l

১o.মনের সংকীর্ণতা দূর করা –

যথাযত শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে মনের স্বার্থপরতা, অহংকার বোধ, সংকীর্ণতা দূর করার মাধ্যমে আমরা জীবনে কোনো কাজের সিদ্ধান্তগ্রহণকে অনেক সহজ করে তুলতে পারি l

১১.শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা –

নিয়মিত শরীরচর্চা, পর্যাপ্ত ঘুম, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, পর্যাপ্ত জলপান করা, ধ্যান করার মাধ্যমে শারীরিক ও মানসিক ভাবে সুস্থতা আমাদের সিদ্ধান্তহীনতা থেকে দূরে রাখে।

 

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments
একজন লেখক হিসেবে এই সাইটে জয়েন করতে চান ?
আপনার লেখা পোষ্ট পাবলিশ করুন এবং সেই পোষ্ট থেকে অর্থ উপার্জন করুন
See More & Sign Up !